নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার চাল ব্যবসায়ী আরশাদ আলীর একক মালিকানাধীন দাদা রাইস মিলের নাম ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে নি¤œ মানের চাল। এরি মধ্যে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বাজারে নি¤œ মানের এ চাল ছড়িয়ে দিয়েছে এ শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। যার প্রমান পেয়ে এরি মধ্যে কুষ্টিয়া এবং বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দাদা রাইস মিলের প্রোপাইটার কুষ্টিয়া চাল ব্যবসায়ী মো. আরশাদ আলী। তাঁর তৈরি দাদা রাইস ব্র্যান্ডের খাবার চাল বস্তা জাত করে বিক্রয় করা হচ্ছে সারা দেশে। তবে একই এলাকায় সালাম অটো রাইস মিলের মালিক ও আরশাদ আলী’র বড় ভাই আব্দুস সালাম প্রধান এবং তাঁর ছেলে আনোয়ার হোসেন তাদের নিজ নামে সালাম রাইস বস্তজাত করে বাজারজাত করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে আরশাদের একক মালিকানাধীন দাদা রাইস এর সুনাম নষ্ট করতে তার ভাই আব্দুস সালাম ও আনোয়ার বিভিন্ন সময় দাদা রাইস নাম ব্যবহার করে নি¤œমানের চাল বাজারে বিক্রি করে অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অসাধু এ ব্যবসায়ীরা দাদা রাইস নাম ব্যবহার করে ট্রেড মার্ক করার জন্যও আবেদন করেছেন।
এমন খবর জানতে পেরে ট্রেড মার্ক অফিসে দাদা রাইসের পক্ষে আরশাদ আলী ট্রেড লাইসেন্স, ফ্যাক্টরী লাইসেন্স, টিন ও ভ্যাট সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করে আপত্তি প্রদান করে। এতে বিজ্ঞ ট্রেড মার্ক ও ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর ১২৫৩৯২ নং ট্রেড মার্ক আবেদনটি বাতিল করে দাদা রাইসের একক মালিক হিসেবে আরশাদ আলীর নাম লিপিবদ্ধ করে দেন। যার স্মারক নং ৯৪২৫/১৯, তারিখ ৪/১১/২০১৯। এছাড়াও দাদা রাইস নামে আরো একটি আবেদন বিজি প্রেস থেকে ট্রেড মার্ক জার্নালে প্রকাশিত হয়। যার আবেদন নম্বর ২০৬৮২৮। উক্ত আবেদনটি একক নামে প্রকাশিত হয়। তাই দাদা রাইস ব্র্যান্ডের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি ক্রেতাদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন দাদা রাইস ব্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply